top of page

ছবি

লিভিং উইথ আঙ্কেল স্যাম

আমেরিকার হাইপারকনসাম্পশন আর টাকামুখী পরিবেশে জীবনধারণ করতে গিয়ে আমি প্রায় প্রতিদিন-ই একগাদা চরম অযৌক্তিক, স্ব-প্রদিত আর অপ্রয়োজনীয় মানসিক অস্থিরতা অনুভব করি । 

 

আমার বেশিরভাগ ছবি’র চিন্তাভাবনা সবাই একই ইঙ্গিত দেয়। তবুও ব্যাপারটা পরিষ্কার করে লিখিত ভাবে স্বীকার করার একটা আলাদা গুরুত্ব নিশ্চই আছে। ব্যাপারটা হইলো - আমি বেশ ভালোরকমের ডিপ্রেশন-এ ভুগতেছি। 

 

২০১৬ তে বাসা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই এই জিনিশ আমার সাথে থাকছে। ঢেউ এর মত হয় আজ বেশি থাকে আর কাল কম। অবস্থার হেরফের শুধু এ-ই।

 

এর সাথে কি করা দরকার বুঝে উঠতে পারি না। মস্তিষ্ক শুধু এইটুক জানান দেয় যে "তার ভাল লাগে না"। "কেন ভাল লাগে না" আর "কি করলে ভাল লাগবে" এইসবের উত্তর খোঁজা হয় না। বরং "বেঁচে থেকে কি হয়?" - সেই চিন্তার দিকে হনহন হাটা দেয়া হয়। 

 

কারো সাথে নিয়মিত দেখা/কথা হয় না। পরম বন্ধু, আত্মীয়, শত্রু সবার ফোন-ম্যাসেজ-কমেন্ট নিয়মিত ইগনোর করি। বেয়াদপি করা হয় বুঝি কিন্তু অপরাধবোধ কাজ করে না। মনে থাকে না। মনে রাখতে ইচ্ছাও করে না। 

 

আরেক ব্যাপার হল যে, বই পরা হয় না। ভাবা হয় না। শেখা হয় না। নতুন কিছু জানার ইচ্ছা, নতুন কিছু করার ইচ্ছা, সেও নাই। প্রচুর ইমেজ, প্রচুর ছবি-ভিডিও ল্যাপ্টপে জাস্ট আটকায়ে থাকে। সেটা দিয়ে কি হতে পারে তা হয়ত মাথায় আছে, কিন্তু সেটা নিয়ে কাজ করার মত আগ্রহ নাই। 

 

কিন্তু জীবন তো আর আমার মানসিক অস্থিরতার জন্য থেমে থাকছে না। দিনশেষে সবার মত আমারও মাথার উপড়ে ছাঁদ আর পেটের ভেতরে "খাবার" দরকার। শুধুমাত্র সেটা জোগাড় করার জন্য ঘর থেকে খানিকটা বের হওয়া হয়। সেইসময় মোবাইলে আমেরিকার ছবি তুলে রাখি। 

 

মাঝে মধ্যে অঞ্জন দত্ত বা অন্য কারো একটা ভাল গান শুনলে কোন একভাবে একঝলক অমূল্য “ইন্সপাইরেশন” খুঁজে পাওয়া হয়। এই সিরিজের বেশিরভাগ ছবি-ই ২০১৬ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত চলতে থাকা এই ক্রাইসিসের মধ্যের এইরকম সাময়িক অনুপ্রেরণাকে পুজি করে তৈরি।

bottom of page